সূর্য নাকি পূর্ব দিকে উঠে, আবার এটা নাকি ইউনির্ভাসেল
ট্রুথ।
এর চেয়ে ইউনিভার্সেল মিথ্যা আর কি হতে পারে।
সূর্য উঠে না বরং পৃথিবীই ঘোরে।
একটি কথা বলুন তো আমরা পৃথিবীর ভেতরে থাকি না বাইরে।
মাথা চুলকিয়ে লাভ নেই আমরা পৃথিবীর বাইরে থাকি। ঠ্যাং দুটো মাটিতে লাগানো। আর মাথা মহাশূন্যে। ভয়ের
কারণনেই। আজ আমি বিজ্ঞান ক্লাশ নিতে আসিনি।
চিন্তা করে দেখুন আমরা কতটা ঝুকির মধ্যে আছি।
পৃথিবী আমাদের নিয়ে ঘুরে চলেছে। একবারযদি হঠাৎ
করে ব্রেক করে বসে কে কোথায় গিয়ে পরবে তার কোন ঠিক
আছে। বাসের হার্ড ব্রেক করলেই তো একজন আরেকজনের সিটে গিয়ে পরি।
চলুন তাহলে পৃথিবীর ভিতরে গিয়ে রিক্সমুক্ত অবস্থায় বসবাস
শুরু করি।
ভেতরের তাপমাত্রা জানেন তো?
তাপে মাটি গলে লুতুপুতু খেলে। ব্যাটিং যখন জোরে হয়ে যায়
বল তখন পৃথিবীর উপরে চলে আসে, যাকে আমরা লাভা বলি।
সূর্য এক সেকেন্ডে ৬২ কোটি কেজি গ্যাস পোড়ায়।
যা দিয়ে আপনি আপনার ৩ পুরুষ সারা জীবন রান্না করেও শেষ
পারবেন না।
একটি বর্জপাতে যে পরিমান বিদ্যুৎ থাকেতা দিয়ে একটি দেশ
পুরো এক বছর চলতে পারবে। প্রতি মিনিটে ৫০০টি করে তারা গুনলেও আপনার পুরো শেষ
করতে কয়েকশ বছর লেগে যাবে।
আল্লাহ এতো কিছু করতে পারলেন, আমাদের
সবাইকে ১টি করে ডুপ্লেক্স বাড়ি, একটি জিব্রাইল ব্র্যান্ড
গাড়ি, একটি ইবলিশ ব্র্যান্ড মোটর সাইকেল দিলেও
তো পারতেন। তো আমাকে-আপনাকে পাঠিয়েছে কি আঙ্গুল চুষতে? একবার
ভেবে দেখুন জন্মের পর যে পরিমাণ ভাত খেয়েছি তা এক
সাথে করলে এই মুহুর্তে যে রুমে বসে আছেন
তা পুরোটা ভরে যাবে।
হাসপাতালে ১ বোতল অক্সিজেনের দাম ২৫০ টাকা। জন্মের পর
থেকে যদি অক্সিজেন কিনে ব্যবহার করতে হতো কি অবস্থা হতো।
কখনো কি আল্লাহর কাছে শুকরিয়া করেছি?
করিনি, বরং আল্লাহ উপর মাঝে মাঝে রাগ হয়েছি,
এটা দেয়নি ওটা দেয়নি করে। আমার গায়ের রং কালো, পাশের
বাড়ির ভাবী কতো ভালো। আমার নাকটা চ্যপ্টা,
চোখটা ট্যারা, জিহ্বাটা মরচে পরা। আরে বাবা যা দিয়েছে তার শুকরিয়া করতেই তো একজীবন পার
হয়ে যাবে। সব যদি দিয়ে দেবে তবে আর
পরীক্ষাটা হবে কিভাবে?
টিচার চাইলে কি স্টুডেন্টকে পরীক্ষার সব প্রশ্ন আগেই
দিয়ে দিতে পারেনা? পরীক্ষাটা ভালো করে দিন পরকালে সব
রেডীই আছে। ওখানে ভাত পাবেন, মাছ পাবেন, দেশী মুরগীর গোশত পাবেন।
পাবেন ৭ টা সুন্দরী হুর। কি দিয়ে দেবেন
নাকি আমাকে একটা?
লাগবে না ভাই, আমার নিজের গুলা নিয়েই টেনশনে আছি,
কাকে কোন দায়িত্ব দেব সেই চিন্তায় শেষ।চলুন
শুকরিয়া করি আল্লাহর কাছে।আল্লাহ আপনি যা দিয়েছেন তা নিয়েই আমরা সন্তুষ্ট। ভুল বুঝে মাঝে মাঝে আপনার
প্রতি রাগ করেছি। আমাদের ক্ষমা করুন। আজ থেকে আমার
মনে কোন কষ্ট নেই। নেই না পাওয়ার কোন দুঃখ। আজ
থেকে আমি পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী ব্যক্তি। আমাকে ক্ষমা করুন
আল্লাহ, আমাকে ক্ষমা করুন।---