
পলানটুকঃ
একজন ওয়ালে চোখ চাইপ্পা এক থেইক্কা তিরিশ গুনতো আর সবাই পলাইতো। গুনা শেষ হইলে খোঁজাখুঁজি। একদিন দুই বন্ধু মিলে প্রতিপক্ষরে হারানোর জন্য স্কুল বাউন্ডারীর বাইরে যায়া পলাইছিলাম।



পিঠফুডান্তীঃ
ভাইরে নাম লইতেই পিঠটা জ্বলতাছে।



কলম কলমঃ
ক্লাস রুমের খেলা। বেঞ্চ বা টেবিলের চারপাশে কয়েকজন বন্ধু জড়ো হয়ে প্রত্যেকে একটা করে কলম রাখতো আর পালাক্রমে টোকা দিয়ে দিয়ে অন্যের কলম ফেলার চেস্টা করতো। যারটা শেষ পর্যন্ত টেবিলে থাকবে সেই জয়ী।

এই খেলাটার জন্য অনেক গবেষনা করতাম। ক্লাস ফাইভ সিক্সে থাকতেই মোমেন্টাম, ফ্রিকশন এবং বলের সঠিক প্রয়োগের উপর ব্যাপক বাস্তব জ্ঞান দিয়েছিল এই খেলা। খেলায় জিতার জন্য ভারি কলম নির্বাচন,ঘর্ষন কমানোর জন্য কলমের মাথায় রাবারের গ্রিপ লাগানো এবং অন্য কলমকে টেবিল থেকে সরাইতে ঠিক কত এঙ্গেলে কিভাবে মারতে হবে এমন অনেক বিদ্যা খাটানো লাগতো।



কাটাকুটিঃ
game of X and O. এর জন্য আম্মার হাতে ব্যাপক মাইর খাইছিলাম থ্রী ফোরে থাকতে। ক্লাস ওয়ার্কের অর্ধেক খাতা জুড়ে কাটাকুটি খেলার অপরাধে।
আমার খেলার টেকনিক ছিল প্রতিপক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়া খালি তিন কোনায় কোনরকম তিনটা X বা O বসানোতে। এবার যাইবি কই?

ক্রিকেটঃ
স্কুলে ব্যাট আনা যাইতো না তো কি হইছে?





ভিড্যু গেমস (MOSTAPHA):
২ টাকা দিয়া এক কয়েন মোস্তফা আর ১৫ টাকায় পুরা গেম ওভার।

কিছুই বলার নাই। ক্লাস ফাঁকি দিয়ে কখনো খেলি নাই এটা সত্য তবে টিফিন টাইমটা খারাপ যাইতো না। সিরিয়াল পাইতে আগেই বুক দিয়া আসতাম।


খাতার ক্রিকেটঃ
ক্লাশরুমে কখনো টিচার না আসলে খেলা হইতো দুইজনের মধ্যকার এই প্রীতি ম্যাচ। একটা খালি পেজে এ সুন্দর করে একটা বৃত্ত আঁকা হত। বৃত্তটাকে এখনকার হোটেলের বড় নানরুটি ভাগ করার মত (উপযুক্ত আর কোন তুলনা পাইলাম না) ১০/১২ টা ভাগ করা হত। তারপর প্রতি ভাগে 6 run, 4 run, 2 run, 1 run, no ball, wd, catch out, bold, lbw, run out, hit out লেখা হত।


ব্যাটসম্যান সেন্টারে কলম রেখে মাথা উপরের দিকে করে চোখ বন্ধ রাখতো আর বোলার খাতা ঘুরাইতো। তারপর ব্যাটসম্যান কলম তুলে আন্দাজে বিভিন্ন ঘরে ফেলতো। এভাবে রান না হয় আউট হত।




খাতার মলাট। আমাদের সময়কার খাতার মলাটে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ছিল মিনা।
অনেক সময় মীনার দাড়ি মোছ লাগাইতাম ক্লাসে বসে।