আমরা অনেকেই মনে করি ঘরে কেক তৈরি অনেক ঝামেলার কাজ। তাও
আবার গ্যাসের চুলায়! কেক বানাতে ওভেন ও বিটার মেশিন তো লাগবেই লাগবে!
কিন্তু কারো ঘরে যদি এই দুইটোর কোনটাই না থাকে তখনও কি কেক বানানো সম্ভব?
হ্যাঁ, সম্ভব। ওভেন আর বিটার মেশিন ছাড়া গ্যাসের চুলায়ও সহজে কেক বানানো
যায়। আর সেটি বাইরের স্পঞ্জ কেকের মতই তুলতুলে নরম ও মজার হবে। আপনাকে
শুধু জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি।
অনেকেই কেক বানাতে গিয়ে নানান সমস্যার মুখোমুখি হন। কারো কেক ফুলে উঠে না, আবার কারোটা নরম হয় না। আবার এতোই নরম হয় যে সেটি বাটি থেকে তুলতে গেলেই ভেঙ্গে যায়। কারো আবার কেকের ভিতরটা কাঁচা রয়ে যায়। আপনাদের এই সকল সমসসার সমাধান করার জন্যই আজকে ওভেন ছাড়াই গ্যাসের চুলায় ভ্যানিলা বাটার কেক তৈরির রেসিপি দেয়া হলো।
উপকরণঃ
১/২ কাপ আনসল্টেড বা লবণ বিহীন মাখন, ১/২ কাপ সাদা গুঁড়ো করা চিনি বা আইসিং সুগার, ২ টি ডিম, ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ কাপ ময়দা, ১/৪ চা চামচ লবন
১ চা চামচ বেকিং পাউডার, ২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, গরম পানি ৩ টেবিল চামচ, ২ টেবিল চামচ চিনি মেশানো পানি
প্রস্তুত প্রক্রিয়াঃ
ব্যাটার তৈরির প্রক্রিয়া-
এক সাথে ময়দা এবং বেকিং পাউডার মিশিয়ে চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিন। কোন ময়লা যদি থেকে থাকে তবে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। একটা এগ হুইস্কার অথবা কাঁটা চামচ দিয়ে দুই মিনিট ধরে মাখন ফেটিয়ে ক্রিম করে ফেলুন। আস্তে আস্তে চিনি ঢেলে আরও দুই মিনিট ফেটাতে থাকুন। চিনিটা গুঁড়োর করে নিলে কাজে সুবিধা হবে। এবার ডিম এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ততোক্ষণ ধরে ফেটাতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না তা ফোমের মতো হয়ে আসে। এবার গুঁড়ো দুধটাকে গরম পানিতে গুলে ফেটানো ডিম, চিনি ও মাখনের ফোমের মধ্যে ঢেলে দিয়ে আরও কয়েক বার ফেটান। এই মিশ্রণটিতে মিশানো ময়দা ও বেকিং পাউডার ঢেলে দিন এবং হালকা হাতে মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন এতে যেন কোন ময়দার ডেলা না থাকে।
কেক বানানোর জন্য সমতল গোল একটি বাটি নিন। নিতে পারেন চৌকো কেক টিনও। পরিষ্কার একটা কাগজ নিয়ে, এর গায়ে মাখনের হাল্কা প্রলেপ দিয়ে দিন। একে বাটির মাপে গোল করে কেটে নিয়ে বাটিটাতে সমানভাবে বিছিয়ে নিন। এতে করে কেকটি হয়ে গেলে বাটি থেকে কেক বের করতে আর কষ্ট হবে না। টিনের গায়েও ভালো করে মাখন মাখিয়ে দিন। এখন ব্যাটারটি গ্রিস দেওয়া বাটিটিতে ঢেলে দিন। খেয়াল রাখবেন বাটিতে ব্যাটারটি সমানভাবে ছড়ানো থাকে, কোন সাইডে উচু নিচু না হয়। গ্যাসের চুলায় কেক বেক করা আহামরি কঠিন কোনো কাজ নয়। আসুন জেনে নেই উপায়টা-
গ্যাসের চুলায় কেক বেকিং-এর প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে একটি খালি বড় গভীর গর্তের সসপ্যান নিন। তলা ভারী সস প্যান হতে হবে। খেয়াল রাখবেন সসপ্যানটি যেন একদম শুকনা থাকে। যদি এতে হালকা পরিমাণেরও তেল বা পানি রয়ে যায় তবে তা থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হবে।
এখন এই সসপ্যানের মাঝে একটা স্তর পরিষ্কার শুকনো বালি ছড়িয়ে দিন। এটা আপনার সস প্যানকে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। আর বালি অল্পতেই তৈরি হয় বলে অনেকটা তাপমাত্রা তৈরি হবে। বালি ছাড়াও করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে চুলায় একটা তাওয়া বসিয়ে তারপরে সসপ্যান রাখুন। যেভাবে পোলাও- বিরিয়ানী দমে দেয়া হয় অনেকটা সেভাবেই। সস প্যানের মাঝখানে ছোট্ট একট র্যাক অথবা স্ট্যান্ড বসান। সসপ্যানটিতে এমন একটি ঢাকনা দিয়ে আটকে দিতে হবে যেন এটা থেকে কোন বাতাস চলাচল করতে না পারে। এবার সসপ্যানটিকে চুলায় সর্বোচ্চ আঁচে ৫ মিনিটের জন্য রাখুন। কেকটাকে প্রিহিটে দেওয়ার জন্য এ কাজটি করলাম আমরা।
সসপ্যানটির ঢাকনা সরিয়ে ফেলুন। খুব সাবধানে কাজটি করতে হবে কারণ এ সময় সসপ্যানটি খুব গরম থাকবে। এখন কেকের ব্যাটার রাখা বাটিটাকে সাবধানে স্ট্যান্ডের উপর বসিয়ে দিন।
আরেকবার ঢাকনা দিয়ে সসপ্যানটিকে ঢেকে দিয়ে কেকটিকে বেক করতে দিন। প্রথম ৫ মিনিট চুলার জ্বাল পুরো দমে বাড়ানো থাকবে, আর পরের ২০ মিনিটের জন্য চুলার জ্বাল মাঝারী আঁচে থাকবে। এ পদ্ধতি ৮ ইঞ্চি ব্যাসের কেকের জন্য প্রযোজ্য। কেক যদি এর চেয়ে বড় হয় তবে বেশী এবং ছোট হলে কম সময় লাগবে।
কেক বেকিং-এর সময় কিছুক্ষণ পর পর চেক করতে হবে কেকটি হয়ে উঠলো কিনা। যখনই কেকটির উপর একটু শক্ত হয়ে আসবে এবং কাঁটা চামচ কেকের মাঝখানে ঢুকিয়ে দিলে সেটি পরিষ্কার ভাবে বের হয়ে আসবে তখনই কেকটিকে চুলা থেকে বের করে আনতে হবে। ও ভালো করে ঠাণ্ডা করতে হবে।
এবার একটা ছুরি দিয়ে বাটির চারপাশে ঘুরান। একটা সমতল প্লেট বাটিটার উপরে উল্টো করে ধরে কেকের বাটিটা উল্টে দিন। এবার আস্তে করে বাটিটা তুলে ফেলুন। কেকের উপরে রাখা মাখনের গ্রিস দেওয়া কাগজটি আস্তে করে সরিয়ে ফেলুন।
কেকটি ৫/৬ ঘণ্টা পর ভালোমত ঠাণ্ডা হয়ে এলে এর উপরে চিনি গোলানো পানি ছিটিয়ে দিন। চাইলে হুইপড ক্রিম, চকোলেট শেভিং, বাদাম কুচি ও চেরি দিয়ে সাজাতে পারেন।
ছুড়ি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন নিজ ঘরে চুরায় বেক করা মজাদার “পারফেক্ট ভ্যানিলা কেক”।
অনেকেই কেক বানাতে গিয়ে নানান সমস্যার মুখোমুখি হন। কারো কেক ফুলে উঠে না, আবার কারোটা নরম হয় না। আবার এতোই নরম হয় যে সেটি বাটি থেকে তুলতে গেলেই ভেঙ্গে যায়। কারো আবার কেকের ভিতরটা কাঁচা রয়ে যায়। আপনাদের এই সকল সমসসার সমাধান করার জন্যই আজকে ওভেন ছাড়াই গ্যাসের চুলায় ভ্যানিলা বাটার কেক তৈরির রেসিপি দেয়া হলো।
উপকরণঃ
১/২ কাপ আনসল্টেড বা লবণ বিহীন মাখন, ১/২ কাপ সাদা গুঁড়ো করা চিনি বা আইসিং সুগার, ২ টি ডিম, ১ চা চামচ ভ্যানিলা এসেন্স, ১ কাপ ময়দা, ১/৪ চা চামচ লবন
১ চা চামচ বেকিং পাউডার, ২ টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ, গরম পানি ৩ টেবিল চামচ, ২ টেবিল চামচ চিনি মেশানো পানি
প্রস্তুত প্রক্রিয়াঃ
ব্যাটার তৈরির প্রক্রিয়া-
এক সাথে ময়দা এবং বেকিং পাউডার মিশিয়ে চালুনি দিয়ে ছেঁকে নিন। কোন ময়লা যদি থেকে থাকে তবে তা পরিষ্কার হয়ে যাবে। একটা এগ হুইস্কার অথবা কাঁটা চামচ দিয়ে দুই মিনিট ধরে মাখন ফেটিয়ে ক্রিম করে ফেলুন। আস্তে আস্তে চিনি ঢেলে আরও দুই মিনিট ফেটাতে থাকুন। চিনিটা গুঁড়োর করে নিলে কাজে সুবিধা হবে। এবার ডিম এবং ভ্যানিলা এসেন্স দিয়ে ততোক্ষণ ধরে ফেটাতে থাকুন যতক্ষণ পর্যন্ত না তা ফোমের মতো হয়ে আসে। এবার গুঁড়ো দুধটাকে গরম পানিতে গুলে ফেটানো ডিম, চিনি ও মাখনের ফোমের মধ্যে ঢেলে দিয়ে আরও কয়েক বার ফেটান। এই মিশ্রণটিতে মিশানো ময়দা ও বেকিং পাউডার ঢেলে দিন এবং হালকা হাতে মিশিয়ে ব্যাটার তৈরি করুন। খেয়াল রাখবেন এতে যেন কোন ময়দার ডেলা না থাকে।
কেক বানানোর জন্য সমতল গোল একটি বাটি নিন। নিতে পারেন চৌকো কেক টিনও। পরিষ্কার একটা কাগজ নিয়ে, এর গায়ে মাখনের হাল্কা প্রলেপ দিয়ে দিন। একে বাটির মাপে গোল করে কেটে নিয়ে বাটিটাতে সমানভাবে বিছিয়ে নিন। এতে করে কেকটি হয়ে গেলে বাটি থেকে কেক বের করতে আর কষ্ট হবে না। টিনের গায়েও ভালো করে মাখন মাখিয়ে দিন। এখন ব্যাটারটি গ্রিস দেওয়া বাটিটিতে ঢেলে দিন। খেয়াল রাখবেন বাটিতে ব্যাটারটি সমানভাবে ছড়ানো থাকে, কোন সাইডে উচু নিচু না হয়। গ্যাসের চুলায় কেক বেক করা আহামরি কঠিন কোনো কাজ নয়। আসুন জেনে নেই উপায়টা-
গ্যাসের চুলায় কেক বেকিং-এর প্রক্রিয়াঃ
প্রথমে একটি খালি বড় গভীর গর্তের সসপ্যান নিন। তলা ভারী সস প্যান হতে হবে। খেয়াল রাখবেন সসপ্যানটি যেন একদম শুকনা থাকে। যদি এতে হালকা পরিমাণেরও তেল বা পানি রয়ে যায় তবে তা থেকে ধোঁয়ার সৃষ্টি হবে।
এখন এই সসপ্যানের মাঝে একটা স্তর পরিষ্কার শুকনো বালি ছড়িয়ে দিন। এটা আপনার সস প্যানকে পুড়ে যাওয়ার হাত থেকে বাঁচাবে। আর বালি অল্পতেই তৈরি হয় বলে অনেকটা তাপমাত্রা তৈরি হবে। বালি ছাড়াও করা সম্ভব। সেক্ষেত্রে চুলায় একটা তাওয়া বসিয়ে তারপরে সসপ্যান রাখুন। যেভাবে পোলাও- বিরিয়ানী দমে দেয়া হয় অনেকটা সেভাবেই। সস প্যানের মাঝখানে ছোট্ট একট র্যাক অথবা স্ট্যান্ড বসান। সসপ্যানটিতে এমন একটি ঢাকনা দিয়ে আটকে দিতে হবে যেন এটা থেকে কোন বাতাস চলাচল করতে না পারে। এবার সসপ্যানটিকে চুলায় সর্বোচ্চ আঁচে ৫ মিনিটের জন্য রাখুন। কেকটাকে প্রিহিটে দেওয়ার জন্য এ কাজটি করলাম আমরা।
সসপ্যানটির ঢাকনা সরিয়ে ফেলুন। খুব সাবধানে কাজটি করতে হবে কারণ এ সময় সসপ্যানটি খুব গরম থাকবে। এখন কেকের ব্যাটার রাখা বাটিটাকে সাবধানে স্ট্যান্ডের উপর বসিয়ে দিন।
আরেকবার ঢাকনা দিয়ে সসপ্যানটিকে ঢেকে দিয়ে কেকটিকে বেক করতে দিন। প্রথম ৫ মিনিট চুলার জ্বাল পুরো দমে বাড়ানো থাকবে, আর পরের ২০ মিনিটের জন্য চুলার জ্বাল মাঝারী আঁচে থাকবে। এ পদ্ধতি ৮ ইঞ্চি ব্যাসের কেকের জন্য প্রযোজ্য। কেক যদি এর চেয়ে বড় হয় তবে বেশী এবং ছোট হলে কম সময় লাগবে।
কেক বেকিং-এর সময় কিছুক্ষণ পর পর চেক করতে হবে কেকটি হয়ে উঠলো কিনা। যখনই কেকটির উপর একটু শক্ত হয়ে আসবে এবং কাঁটা চামচ কেকের মাঝখানে ঢুকিয়ে দিলে সেটি পরিষ্কার ভাবে বের হয়ে আসবে তখনই কেকটিকে চুলা থেকে বের করে আনতে হবে। ও ভালো করে ঠাণ্ডা করতে হবে।
এবার একটা ছুরি দিয়ে বাটির চারপাশে ঘুরান। একটা সমতল প্লেট বাটিটার উপরে উল্টো করে ধরে কেকের বাটিটা উল্টে দিন। এবার আস্তে করে বাটিটা তুলে ফেলুন। কেকের উপরে রাখা মাখনের গ্রিস দেওয়া কাগজটি আস্তে করে সরিয়ে ফেলুন।
কেকটি ৫/৬ ঘণ্টা পর ভালোমত ঠাণ্ডা হয়ে এলে এর উপরে চিনি গোলানো পানি ছিটিয়ে দিন। চাইলে হুইপড ক্রিম, চকোলেট শেভিং, বাদাম কুচি ও চেরি দিয়ে সাজাতে পারেন।
ছুড়ি দিয়ে কেটে পরিবেশন করুন নিজ ঘরে চুরায় বেক করা মজাদার “পারফেক্ট ভ্যানিলা কেক”।